আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল, যদিও এই মুভমেন্টের পেছনে কোনো স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক কারণ ছিল না। সারা দিনে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের সঙ্গে প্রায় সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, যার ফলে এই প্রতিবেদনটি এই কারেন্সি পেয়ারের উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি। ফলস্বরূপ, মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কোনো বিষয় ছিল না। কারেকশন এখনও চলমান রয়েছে, কারণ মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইনের উপরে রয়েছে, এবং এই প্রবণতা ধারাবাহিক খবর বা প্রতিবেদনের উপর নির্ভরশীল নয়।
তবে, আজ বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার ফলে পেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধির বা দরপতনের সমান সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে বর্তমান মুভমেন্ট মূলত একটি কারেকশন।
বৃহস্পতিবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.2301 লেভেলের কাছে এই কারেন্সি পেয়ারের তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি করেছিল, যা সম্প্রতি 1.2316 থেকে পরিবর্তিত হয়েছে। ফলস্বরূপ, 1.2316 লেভেলটি গতকাল প্রাসঙ্গিক ছিল না। দিনের বেশিরভাগ সময় ব্রিটিশ পাউন্ড সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সাথে ট্রেড করেছে এবং সন্ধ্যায় একটি উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। 1.2372 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে ট্রেড করা যেত, তবে এই সিগন্যালটি দিনের শেষভাগে তৈরি হয়েছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা মূলত একটি কারেকশন। মধ্যমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা সম্পূর্ণরূপে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি। তাই, ট্রেডারদের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা উচিত, এবং ট্রেন্ডলাইন বর্তমান কারেকশনের সমাপ্তি নির্দেশ করবে।
শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, এবং দৈনিক প্রবণতা মূলত সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এই সপ্তাহে প্রথমবারের মতো, আসন্ন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা সম্ভব: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। শুক্রবার, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো গুরুত্বের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা যায়, তবে তা মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।