empty
 
 
23.01.2025 09:36 AM
২৩ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে মূল্য ধীরে ধীরে বাড়ছে, যা পরোক্ষভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের দুর্বলতা নির্দেশ করে, কারণ এটি একটি কার্যকর কারেকশন প্রতিষ্ঠা করতে সংগ্রাম করছে। তাই, আমরা আমাদের এই আস্থা বজায় রাখছি যে মধ্যমেয়াদে সম্ভবত পাউন্ডের দরপতন হবে। এই সময়ে ধৈর্য ধরা অপরিহার্য, কারণ দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন তৈরি হচ্ছে, যা সম্পন্ন হতে উল্লেখযোগ্য সময় নিতে পারে। মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে স্থানীয় প্রবণতা একাধিকবার পরিবর্তিত হতে পারে। বুধবার কোনো বড় সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক ইভেন্ট না থাকায় এবং বৃহস্পতিবারেও এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট বা উল্লেখযোগ্য লাভের প্রত্যাশা করা কঠিন।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার তিনটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, মূল্য 1.2316 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল এবং তারপর বেড়ে 1.2372 পর্যন্ত পৌঁছেছিল, পরে আবারও কমে 1.2316-এ ফিরে এসেছে। এর ফলে, নতুন ট্রেডাররা দুটি স্পষ্ট ট্রেডিং সিগন্যাল পেয়েছিল যা সফলভাবে কাজে লাগানো গিয়েছিল। এই দুটি ট্রেড থেকে কমপক্ষে 60 পিপ লাভ অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করছে, যা মূলত একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা দেখতে পাওয়ার প্রত্যাশা বজায় রাখছি, এবং মূল্য 1.1800-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যাবে, যেটি আমাদের মতে সবচেয়ে যৌক্তিক পরিস্থিতি। সুতরাং, আমরা আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যেখানে ট্রেন্ডলাইন বর্তমান কারেকশনের সমাপ্তি নির্ধারণে একটি মূল সূচক হিসেবে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে শান্তভাবে মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনে ফিরে আসতে পারে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা মনে করি আজ ডলারের দর বৃদ্ধি পুনরায় শুরু হতে পারে, কারণ সোমবার এবং মঙ্গলবার পরিলক্ষিত ডলারের দরপতন অযৌক্তিক ছিল।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.