আরও দেখুন
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবারের তীব্র দরপতনের পর শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পুনরুদ্ধার মূলত প্রযুক্তিগত কারণে হয়েছে, যেখানে মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে মৌলিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অপেক্ষা প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। দুই সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা মার্কেটে পুনরায় মার্কিন ডলার ক্রয়ের আগ্রহ সৃষ্টি করেছিল। মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল। সাধারণত, প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন মার্কিন ডলার ক্রয়ের একটি কারণ হিসেবে কাজ করে। তবে, ডলার ক্রয়ের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রবণতা দেখা যায়নি, এবং ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া বেশ দুর্বল ছিল। এটি এই ইঙ্গিত দেয় না যে পাউন্ডের দরপতন শেষ হয়েছে। নতুন সপ্তাহ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে সবকিছুই এই ইঙ্গিত দেয় যে দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই সম্ভাবনার ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক করেছি।
৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, শুক্রবারে 1.2387 লেভেলের কাছে চারটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য এই লেভেল থেকে চারবার রিবাউন্ড করেছিল, যেখানে প্রতিটি সিগন্যাল পূর্বেরটির পুনরাবৃত্তি ছিল। এর ফলে, নতুন ট্রেডাররা মাত্র একটি বাই ট্রেড ওপেন করতে পারতেন, যা পরবর্তীতে লাভজনক হয়েছিল। 1.2387 লেভেল থেকে এই পেয়ারের মূল্যের মোট ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ছিল 30 পিপস।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইম ফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য সম্প্রতি ছুটিজনিত ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের মূল প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়েছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতন প্রত্যাশা করছি, কারণ এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে আমরা মনে করি। অতএব, আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে; তবে সবসময় প্রযুক্তিগত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
বৃহস্পতিবারের দরপতনের পর সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে। তবে, নতুন পজিশন ওপেন করার জন্য নতুন সিগন্যাল প্রয়োজন।
৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হল: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, এবং 1.2980-1.2993।
এছাড়াও, সোমবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তবে খুব বড় কোনো প্রভাবের আশা করা হচ্ছে না।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।