আরও দেখুন
শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা গেছে এবং মূলত সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে বিশ্লেষণ করার মতো তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। বর্তমানে মার্কেটে ছুটির ভাব বিরাজ করছে, যেখানে কোন প্রাসঙ্গিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা বড় কোন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নেই। এই পরিস্থিতিতে সেরা পদক্ষেপ হলো নতুন বছরের ফ্ল্যাট মার্কেট শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা। বিকল্পভাবে, হায়ার টাইমফ্রেমে ট্রেড করা যেতে পারে, যেখানে বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতি ফ্ল্যাট মনে নাও হতে পারে। তবে, এই ক্ষেত্রে ট্রেডগুলো কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে রাখতে হতে পারে।
শুক্রবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, কোন ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়নি। দিনের বেলায় মূল্য 1.0433–1.0451 রেঞ্জে ফিরে আসে এবং দ্বিতীয়বারের মতো রিবাউন্ড করে। মার্কেটে এত কম ভোলাটিলিটি থাকার কারণে, বিশেষ করে শুক্রবার ক্লোজ হওয়ার ঠিক আগে, ট্রেড ওপেন করা স্পষ্টতই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল না।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ার একটি সংকীর্ণ রেঞ্জে ট্রেড করছে, যা "হলিডে ফ্ল্যাট" হিসেবে পরিচিত। আমরা মনে করি মাঝারি-মেয়াদী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়েছে; তবে, মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডাররা বর্তমানে নতুন ট্রেড ওপেন করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, যার ফলে মূল্য স্থবির হয়ে আছে। আমরা আশা করি মূল্য প্রায় যেকোনো পরিস্থিতিতেই 1.0334–1.0359 রেঞ্জে ফিরে আসবে, যদিও এর জন্য নতুন বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
সোমবার, এই পেয়ারের মূল্য 1.0334–1.0359 এর মূল এরিয়ার দিকে আবারও নিচের দিকে যেতে চেষ্টা করতে পারে। তবে, সম্ভাবনা রয়েছে যে মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থায় থাকবে বা খুব কম ভোলাটিলিটি দেখা দেবে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0845–1.0851, এবং 1.0888–1.0896। শুক্রবার ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, যা নির্দেশ করে যে আজ মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।