আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোজোনে, জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে, এই প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে কোনটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনের জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা জিডিপির সকল অনুমানের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তবে তা খুব বেশি হবে না।
বৃহস্পতিবারের প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে জেরোম পাওয়েল এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে প্রশ্ন হল: তারা ট্রেডারদেরকে কী নতুন কোন তথ্য প্রদান করতে পারেন? গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই এত অল্প সময়ে তাদের মতামত বা অবস্থান পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। অবশ্যই, এই ইভেন্ট দুটি উপেক্ষা করা উচিত নয়, বিশেষ করে পাওয়েলের বক্তব্য, কারণ তিত্নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। তবে আমরা মনে করি না যে পাওয়েল বা বেইলি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি থামাতে পারবেন। ফেড ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতি নিতে পারে, যা ডলারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা জাগাতে পারে।
সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে কেবল ডলার ক্রয়ের উপরই মনোনিবেশ করছে। পাওয়েল বা বেইলির বক্তব্য মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে আমরা মনে করি তাদের বক্তব্যের প্রভাবে কেবল মার্কেটে চলমান ডলার ক্রয়ের প্রবণতা আরও সমর্থিত হবে। আজ প্রকাশিতব্য সকল প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।